তোমাকে ঠিক চেয়ে নেব

১ . খুব মেঘ করে বৃষ্টি নামার আগে রাতের আকাশ যখন অফুরন্ত উল্লাসে নিজেকে লালচে রঙ্গে সাজায়, তখন মাঝেমাঝে আমার মনে অদ্ভুত একটি ইচ্ছে জেগে উঠে । বোকা বোকা একটি ইচ্ছে , কিন্তু আমার কাছে এই ইচ্ছেটি ভীষণ প্রিয় । রাতের মেঘলা আকাশ দেখলে আমার কেন যেন নির্জন একটি দ্বীপ কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে । ইচ্ছেমত সবুজ আর নীলচে রঙ করা সেই দ্বীপটিতে শুধু আমার একলা রাজত্ব হবে । আমার অনেকদিনের ইচ্ছে , মাঝরাতের আকাশ ভেঙ্গে সেখানে যখন ঝুম বৃষ্টি নামবে , সেই বৃষ্টিতে আমি তখন দুরন্ত নদীর মত উল্লাসে মেতে উঠব । সেই বৃষ্টির আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবার জন্যে কোন শাসনের জাল আমাকে বাঁধতে আসবেনা । আমার একলা দ্বীপে কেবল আমার মুগ্ধতায় মাখা বৃষ্টি বিলাস হবে । আর আমার সামনে থাকা ছোট্ট সমুদ্রতটে অবিরাম দুলতে থাকবে রঙ্গিন কোন পানসি , হতে পারে সেটি অনেক দুরের কোন দ্বীপাঞ্চল থেকে ভেসে এসেছে , হতে পারে সেটি কোন খেয়ালি রাজপুত্রের বিলাসী ভ্রমণসঙ্গী । হয়ত সেই পানসিতে উদাস নয়নে বসে থাকবে সেই ভীষণ সাহসী বৃষ্টিমুগ্ধ রাজপুত্র । আর উন্মত্ত বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে আমি দেখব সেই রাজপুত্রের চুলের সাথে বাতাসের যুদ্ধ , বৃষ্টির ছিটেতে ঝাপসা হয়ে যাওয়া তার চশমার কাঁচ । এই যা ! কি ভাবছি , রাজপুত্ররা বুঝি চশমা পরে ? আছে কোন রাজার পুত্র যে কিনা চোখে কম দেখে বলে চশমা পরত ? কি জানি !

আকাশপরীর গল্প

অবন্তিকা হাসে। প্রজাপতির ডানার মতো মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসে। ওর পিঠ
পর্যন্ত নেমে আসা কোকড়ানো চুলগুলো ওর হাসির সাথে সাথে উড়তে থাকে। ওর
কচিমুখে ছোটছোট ধবধবে সাদা দাঁতগুলো হাসির সাথে সাথে ঝিলিক দিয়ে ওঠে।
ঠিকমতো হিসেব করে মনে হয়, অবন্তিকা মায়ের সৌন্দর্য্যের একশ বিশ ভাগ নিয়ে
পৃথিবীতে এসেছিল। মা থাকলে কি বলতেন কে জানে! মায়েদের কাছে অবশ্য নিজের
চাইতে সন্তানদের সৌন্দর্য্য অনেক বেশি মনে হয়। আমি বসে বসে মা কি করতেন
তা কল্পনা করার চেষ্টা করি। আর অবন্তিকা আমার চারপাশ ঘুরে ঘুরে আমাদের
বেড়ালছানাটাকে তাড়া করে বেড়ায়। অবন্তিকা ওটার নাম দিয়েছে ‘কিপ্পি’। আমি
ভেবে পাই না কিপ্পি আবার কি ধরণের নাম। 

ভালো আছি, ভালো থেকো

লিখেছেন - মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী |

অফিসের বস। আর স্যার, ও হলো মহুয়া, আমার স্ত্রী।"

আমি মিষ্টি করে হাসলাম মহুয়ার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু মহুয়ার চোয়াল বিস্ময়ে ঝুলে পড়েছে।

"রুদ্র তুমি? এত্ত দিন পর?.... তুমি আবীরের বস? অথচ অথচ...."

অথচ আমি তার প্রাক্তন প্রেমিক, এ কথাটা মহুয়ার মুখ দিয়ে বেরোল না।

একটি সাদামাটা প্রেমের গল্প

লিখেছেন - নাহিদুল ইসলাম 

গল্পের শুরুটা সাধারণ।
একসাথে পড়তাম ২জন।আলাদা ব্যাচ,প্রথম দেখা কলেজে,মিড টার্ম পরীক্ষার সময়।তার পর কথা শুরু।প্রথমে অল্প,আস্তে আস্তে বাড়ল। একদিন ফোন নাম্বারটাও পেলাম।তখন কথা হত পড়াশোনা নিয়ে,আমার অগোছালো ছাত্রজীবন আর তার সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।সে আমার সাথে মিশত শুধুই সাজেশানের জন্য।কিন্তু অন্য ছেলেদের সে যেমন ভাব দেখাত আমার সাথে ওই আচরণ পাইনি বলেই হয়ত ওর প্রতি আমার একটা মায়া ছিল।প্রেম তখনও অনেক দূর।